মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
মঙ্গলবার, একটি হরাইজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং চলমান ছিল, যা 1.2502 এবং 1.2613 এর মধ্যে সীমাবদ্ধ, এবং নববর্ষের ছুটির প্রভাবে পরিলক্ষিত "ফ্ল্যাট" মুভমেন্টটি সম্প্রসারিত হয়েছে। EUR/USD পেয়ারের মতো, এই পেয়ারের মূল্য 1.2502 লেভেলটি টেস্ট করেছে, যা এই চ্যানেলের নিম্ন সীমা হিসেবে কাজ করছে। ফলস্বরূপ, এই লেভেল থেকে একটি বাউন্স এবং 1.2613 দিকে ব্রিটিশ পাউন্ডের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ ফ্ল্যাট মুভমেন্ট এখনও শেষ হয়নি। বর্তমানে, কোন গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট নেই, এবং নতুন বছর এবং বড়দিনের ছুটির পর মার্কেট সম্পূর্ণ স্থিতিশীল হতে আরও এক বা দুই সপ্তাহ সময় নিতে পারে। এখনও আগে থেকেই অনুমান করার সময় আসেনি যে ছুটির সময় শেষ হয়েছে এবং দ্রুত এই পেয়ারের মূল্যের প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট দেখা যাবে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5-মিনিটের চার্টে দেখা যাচ্ছে যে মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের বেশ এলোমেলো ট্রেডিং পরিলক্ষিত হয়েছে। 1.2547 লেভেলটি সারা দিন জুড়ে মূলত উপেক্ষা করা হয়েছিল। ফ্ল্যাট মার্কেটে, মধ্যবর্তী লেভেলের চেয়ে চ্যানেলের উপরের এবং নিম্ন সীমার উপর মনোযোগ দেওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শেষ পর্যন্ত, মূল্য 1.2547 থেকে বাউন্স করে চ্যানেলের নিম্ন সীমায় পৌঁছেছে। তবে, এই সিগন্যাল থেকে লাভ করা কঠিন ছিল কারণ একই লেভেলের কাছে বেশ কয়েকটি ভুল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। স্পষ্টতই, 31 ডিসেম্বর ট্রেডিংয়ের জন্য আদর্শ দিন ছিল না।
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের প্রধান পর্বটি সম্পন্ন হয়েছে এবং এখন কনসলিডেশন পরিলক্ষিত হচ্ছে। মমধ্যমেয়াদে, আমরা পাউন্ডের দরপতনের সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করি, কারণ আমরা মনে করি এটিই একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল। তবে, এটি উল্লেখযোগ্য যে দরপতনের ক্ষেত্রে পাউন্ড স্টার্লিং মার্কিন ডলারের বিপরীতে উল্লেখযোগ্য প্রতিরোধ প্রদর্শন করে। অতএব, এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা করা হলেও, টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর নির্ভর করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের ফলাফল এই পেয়ারের মূল্যের আরও নিম্নমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনাকে সমর্থন করে।
বৃহস্পতিবার, GBP/USD পেয়ার সম্ভবত 1.2502 থেকে 1.2613 এর মধ্যে অবস্থিত হরাইজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে ট্রেডিং চালিয়ে যাবে। আজ সীমিত সংখ্যক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং নতুন বছরের প্রথম কার্যদিবসে এই পেয়ারের দ্রুত দরপতনের প্রত্যাশা করা অতিরিক্ত আশাবাদী হবে। তা সত্ত্বেও, এই রেঞ্জের নিম্ন সীমার কাছে মূল্যের মুভমেন্ট নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, নিম্নলিখিত লেভেলগুলোর উপর ভিত্তি করে ট্রেডিং করা যেতে পারে: 1.2387, 1.2445, 1.2502–1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680–1.2685, 1.2723, 1.2791–1.2798, 1.2848–1.2860, 1.2913, এবং 1.2980–1.2993। এছাড়াও, বৃহস্পতিবার, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে ডিসেম্বর মাসের ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন কার্যক্রমের দ্বিতীয় অনুমান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। আমরা মনে করি এই প্রতিবেদনগুলোর প্রভাবে মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে না, যদি না প্রাথমিক অনুমান থেকে প্রকৃত ফলাফল উল্লেখযোগ্য বিচ্যুতি দেখা যায়।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।